দোহারে ড্রিম চাইনিজে কিশোরি ধর্ষণ

মো:সুজন হোসেন, স্টাফ রিপোটার:

দোহার উপজেলা জিরো পয়েন্ট জয়পাড়া বাজার অবস্থিত। এখানে রয়েছে প্রায় ২২টি ব্যাংক প্রতিষ্ঠান ।ছোট বড় অসংখ্য শপিংমল ।এখানে প্রতিনিয়ত পাশের উপজেলা থেকে কেনাকাটা করার জন্য আসেন অনেক তরুন তরুণি ।কেউ কেনাকাটার ছলে পড়ে অনেক তরুনি হারাচ্ছেন তাদের স্বতিত্য ।এই অনৈতিক কাজে সহাযোগিতা করছেন অনেক ,অসাধু চাইনিজ ব্যবসায়ীর মালিক ও কর্মকর্তাগন ।এর মধ্যে অন্যতম হলো ড্রিম চাইনিজ ।এটি জয়পাড়া বাজার কাজী সুপার মার্কেটের বিপরীত পাশে ৩য় তলা ভবনে অবস্থিত ।অনেকটা নিরিবিলি ও জনশূন্য বলা যেতে পারে ।যার ফলে উঠতি বয়সের তরুন তরুনি আদর্শ স্থান হিসেবে এই ড্রিম চাইনিজকে ব্যবহার করছে ।এর ধারাবাহিকতায় গত ১৯ জুন বুধবার সকালে কনিকা আক্তার(১৭) নামে এক তরুনি পাশের উপজেলা নবাবগঞ্চ বাগমারা থেকে কেনাকাটার উদ্দেশ্যে জয়পাড়া বাজার আরিয়ান ফ্যাশনে আসলে ফয়সাল সিকদার (৩৬) নামে এক যুবক তাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে পাশের ড্রিম চাইনিজে নিয়ে তাকে ধর্ষন করেন ।তার এই অনৈতিক কাজে সহাযোগিতা করেন চাইনিজের মালিক বাবুল (৩৫),ও বন্ধু শাওন (২৫) ।এসময় কনিকার ডাক চিৎকারে পাশের দোকানের লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষন কারীরা পালিয়ে যায় ।পরে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান তার পরিবারের লোকজন ।ধর্ষনের শিকার কনিকা বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী । এই ঘটনায় ভিকট্রিমের মা বাদী হয়ে দোহার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন ।এই মামলায় তিন নাম্বার আসামি আটক রয়েছে । ১, ও ২ নাম্বার আসামি পলাতক রয়েছে । আসামিরা হলেন নারিশা পশ্চিমচর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মুহাম্মদ ফয়সাল সিকদার, সুতারপাড়া গ্রামের মৃত সোনা মিয়া লস্কর এর ছেলে বাবুল লস্কর,গাজিরটেক গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে মুহাম্মদ শাওন । এই ঘটনায় দোহার থানার সেকেন্ড অফিসার সৌমেন মৈত্র জানান,এ বিষয়ে দোহার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষন মামলা রুজু করা হয় ।এই মামলায় শাওন নামে এক আসামি আটক রয়েছে, অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে ।

আপনি আরও পড়তে পারেন